সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। এতে শহরের বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) এমন তথ্যই বলছে। অথচ আজ রাজধানীতে বায়ুদূষণের জন্য দায়ী যানবাহনের চলাচল অনেকটা কম। ছুটির দিন হওয়ায় কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার একিউআই স্কোর ১৮৮। এতে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় সপ্তমে উঠে এসেছে জনাকীর্ণ এই শহর।
ঢাকার বায়ুদূষণের স্থানীয় উৎসগুলোর মধ্যে আছে যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের দূষণ, আশপাশের ইটভাটার ধোঁয়া। একিউআই স্কোর অনুসারে বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার দূষণের মান ৫০ থেকে ১০০ হলে সেটাকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের দীর্ঘসময়ে ঘরের বাইরে থাকতে বারণ করা হয়েছে।
আর বাতাসে দূষণের মান ১০১ থেকে ১৫০ হলে তা ‘স্পর্শকাতর মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরে নেওয়া হয়। ১৫০ থেকে ২০০ হলে সেই বায়ু অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু। ৩০১ ছাড়িয়ে গেলে সেটা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ, যাতে বাসিন্দাদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
দূষিত শহরের তালিকায় ভিয়েতনামের হ্যানয়, পাকিস্তানের লাহোর ও প্রতিবেশী ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাদের দূষণের স্কোর যথাক্রমে ২৫৪, ২৪৮ ও ২২২।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ ঢাকা
প্রতিদিনের বায়ুমান প্রকাশ করে শহরগুলো কতটা দূষিত কিংবা পরিচ্ছন্ন তা নাগরিকদের জানিয়ে দেয় একিউআই। এতে যে শহরটিতে তারা বসবাস করছেন, সেটি তাদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর সেই বিষয়েও ধারণা নিতে পারছেন লোকজন।
বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম ২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজন--এই পাঁচটি দূষকের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের বায়ুর গুণমান সূচক নির্ধারণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা শহরের দূষিত বায়ুর ধকল সহ্য করে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রতিবছর বায়ূদূষণের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি (সিওপিডি), ফুসফুস ক্যানসার ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কারণে মানুষের মৃত্যুহার বাড়ছে।